সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
নলডাঙ্গা (সাদুল্লাপুর) প্রতিনিধিঃ সাদুল্লাপুর উপজেলায় ভাই ভাতিজার সাথে বসতভিটার দ্বন্দ্বে মনের ক্ষোভে আনজু মিয়া ( ৪৫) নামের এক ব্যক্তি বিষপানে আতœহত্যা করেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রতাপ গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। আনজু মিয়া ওই গ্রামের মৃত মসকত উল্ল্যার ছেলে।
মৃতের স্বজনেরা জানান, রাতের খাওয়া শেষে পরিবারের সকলের অগোচরে শয়ন ঘরে বিষপান করে ছটপট করতে থাকেন আনজু মিয়া। এ সময় তার স্ত্রীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন দৌড়ে এসে মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে দ্রুত সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সেখানে পৌঁছামাত্র তিনি মারা যান।
পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ওই রাতেই তার বাড়ি থেকে আনজুর মরদেহ উদ্ধার করে। পরেরদিন ময়না তদন্তের জন্য তার মরদেহ জেলা আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সহায় সম্বলহীন আনজু মিয়ার মাথা গোঁজাবার কোন রকম ঠাঁই না থাকায় তার মায়ের ও ভাতিজা মাসুম মিয়ার বসতভিটার উপর বাড়ি ঘর তুলে স্ত্রী সন্তান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন।
সম্প্রতি ভাতিজা মাসুম তার নিজের প্রয়োজনে বসতভিটা ছেড়ে দেয়ার জন্য চাচা আনজু মিয়াকে চাপ দেয়। কিন্তু আনজু মিয়া তার ভোগ দখলীয় বসতভিটা ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এনিয়ে চাচা ভাতিজার মধ্যে তুমুল বাগবিতন্ডা ও বিরোধের সৃষ্টি হয়।
এমতবস্থায় ভাতিজা মাসুম পৈত্রিকসুত্রে প্রাপ্ত বিবদমান বসতভিটায় ইটের ঘর নির্মান কাজ শুরু করেন। এসময় আনজু ঘর নির্মানে বাধা দেয়। তার বাধা উপেক্ষা করে ভাতিজা মাসুম ঘর নির্মান করতে থাকলে আনজু মিয়া সাদুল্লাপুর থানায় এ সংক্রান্ত একখানা অভিযোগ করেন। অভিযোগ প্রাপ্তির পর ঘটনারদিন দুপুরে পুলিশ অভিযোগের তদন্ত করে। তারপরেও ভাতিজা মাসুম নির্মান কাজ চালাতে থাকেন। এতে আনজু মিয়া অনেকটা বেকায়দায় পড়ে মনের ক্ষোভে আর দুঃখে বিষপান করে আতœহত্যা করেন। সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ওই রাতেই থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাহিদ মিয়া বলেন, বিষয়টি নিরসনের জন্য আজ শনিবার সালিশ বৈঠকে বসার কথা ছিল। এর আগেই তিনি এমন ঘটালেন তা খুবই দুঃখজনক। যা ভাবতে অবাক লাগছে এবং কষ্ট হচ্ছে।